রাজু আহমদ রাজন ঃ ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
একটা সময় প্যাডেলের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতো রিক্সাচালকেরা। পা দিয়ে প্যাডেল ঘুরিয়ে প্রখর রোদে প্যাসেঞ্জার বা মালামালের ঘানি টেনে গন্তব্যে পৌছানো কতটা কষ্টের তা শুধু তারাই জানে যারা এই কাজের সাথে সমপৃক্ত।
যুগের বিবর্তনে প্রযুক্তির উন্নয়নে আজ তা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা হয়েছে। নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলার দুঃখ কষ্ট অনেকাংশ লাঘব হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের এই সুখ সহ্য হলোনা বড়কর্তাদের অজুহাত হলো বিদুৎ খরচ বেশি হয় অথচ দেশে বিদুৎ এর কোন ঘাটতি নেই। আমাদের দেশে এখন প্রচুর বিদুৎ উৎপাদন হয় সরকারী ও বেসরকারীভাবে।
আরেকটা অজুহাত যানজট সৃষ্টি করে তারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আসলে দেশের বড় বড় শহর গুলোতে কারা যানজট সৃষ্টি করে? এই বড় বড় কর্তারাই কিন্তু যানজটের জন্য দায়ী। দামী বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বের হয় সেই গাড়িতে প্যাসেঞ্জার মাত্র একজন থাকেন। এরকম হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় দেখা যায়।
যানজট মুলত সৃষ্টি হয় এই গাড়িগুলার জন্য। দোষ আসে অটোরিক্সার! বড়কর্তার রাস্তায় চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে। অটোরিক্সার জন্য সাধারণ মানুষগুলা কম খরছে গন্তব্য পৌছাতে পারে। চালকরা কম কষ্টে বেশি টাকা আয় করে।
এই পেশার সাথে জড়িত রয়েছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।
এই শ্রমিকদের বিকল্প কোন আয়ের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে অটোরিক্সা বন্ধ করে দেয়া একটি অমানবিক সিদ্ধান্ত। শ্রমিকের এই কান্না আর্তনাদ রাষ্টযন্ত্রের ব্যর্থতার পরিচায়ক।
0 মন্তব্যসমূহ