শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

টিকটক-ওরাকল চুক্তিতে ট্রাম্পের সম্মতি

 


যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে বলে সম্মতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স ও ওরাকল এবং ওয়ালমার্টের  চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকের জানান, এই চুক্তিতে তার আশীর্বাদ রয়েছে।

সম্প্রতি ৪৮ ঘণ্টা আগে ট্রাম্প প্রশাসন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় চীনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান টিকটক ও উইচ্যাটকে হুমকিস্বরূপ বিবেচনা করে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি দেখবে ওয়ালমার্ট। এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তা থাকবে ১০০ শতাংশ। এই চুক্তিতে টিকটক গ্লোবাল নামে একটি নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সংস্থার সদর দফতরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সম্ভবত টেক্সাস রাজ্যে। এর বেশিরভাগই আমেরিকান পরিচালক, একজন মার্কিন প্রধান নির্বাহী এবং একটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বোর্ড গঠন করা হবে।

ওরাকল এবং ওয়ালমার্ট এই কোম্পানিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং বাইটড্যান্স মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। টিকটকের ডেটা ওরাকল দ্বারা সংরক্ষণ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবসার অর্ধেকরও বেশি মালিকানা থাকবে বাইটড্যান্সের কাছে। তবে টিকটকের নাম হয়ে যাবে টিকটক গ্লোবাল। কোম্পানিটির হেডকোয়ার্টার হবে টেক্সাসে। সেখানে কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার মানুষের। এই চুক্তি থেকে ৫০০ কোটি ডলার পাবে যুক্তরাষ্ট্র, যা খরচ করা হবে শিক্ষা খাতে।

ওরাকল এবং ওয়ালমার্ট এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, এই টিকটক গ্লোবাল যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে এবং দেশটির রাজস্বে পাঁচ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে।

তবে এই চুক্তিতে চীনা সরকারেরও অনুমোদন লাগবে। তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না চুক্তিটি আশার আলো দেখবে কিনা।
বিশ্বব্যাপী ৮০০ মিলিয়ন মাসিক সক্রিয় টিকটক ব্যবহারকারী রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের।

টিকটক কি:
চীনা বাইট ড্যান্স প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ টিকটক। যা দিয়ে সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি করা হয় এবং এসব কনটেন্টের বেশির ভাগই বিভিন্ন ছবির সংলাপের সঙ্গে অভিনয় করা, নিজের ব্যক্তিগত ভিডিও ধারণ, চেহারা বিকৃত করে ভিডিও ধারণ করা। কিন্তু কেউ কেউ আবার এর নেতিবাচক দিকটাকেই বেশি বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে সমাজে সাইবারবুলিং, সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ ঘটছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে। 

সূত্র: বিবিসি 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ