রিপোর্ট-রেদওয়ান আহমদঃ- অনেকদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে গত ১২ই সেপ্টেম্বর। এর ধারাবাহিতায় বিদ্যালয়গুলোতে হচ্ছে নিয়মিত শ্রেণী কার্যক্রম। এই লকডাউনে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বইখাতা হতে ছিটকে পড়েছিলো তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাক- প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্থরের ছাত্রছাত্রীরা।
সকল ছাত্রছাত্রীরা অক্ষরজ্ঞান গ্রহণ করে শিশু শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীতে। কিন্তু ২০২০-২১ সালের ছাত্রছাত্রীরা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়া ওটে গেছে সামনের ক্লাসে। অনেক ছাত্রছাত্রী আবার ভুলে গেছে কিভাবে লিখতে হয় কিংবা বই রিডিং পড়তে হয়। এই দেড় বৎসর মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত এ্যসাইনমেন্ট কার্যক্রম হওয়ায় এবং অনলাইন শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকায় তারা কিছুটা হলেও পড়ালেখার সংস্পর্শে ছিলো কিন্তু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম কোনো ব্যাবস্থা ছিলো না তাই অধিকাংশ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অক্ষরজ্ঞানহীনতায় ভুগতেছে বলে ধারণা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
এই প্রসঙ্গে ইটাউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আফিয়া বেগম বলেন "এই লকডাউনে শিক্ষার্থীরা একেবারে পড়ালেখা ভুলে গিয়েছে তবে যেসব পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানের এই লকডাউনে পড়িয়েছেন তারা সামান্য লিখতে বা পড়তে পারতেছে আর যারা এই লকডাউনে ঘরে পড়ালেখা করে নাই তাদেরকে নতুনভাবে পড়াতে হচ্ছে।"
উনাকে উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বলেন "শিক্ষার্থীরা ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্তি অনুভব করেছে তাই এখন প্রায় শতভাগ উপস্থিত রয়েছে"
0 মন্তব্যসমূহ