সুমন শর্ম্মা: শ্রীমঙ্গলপ্রতিনিধি: বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল শহরের জালালিয়া সড়কের বার্ড পার্ক অ্যান্ড ব্রিডিং সেন্টার থেকে বন বিভাগ ্যাবের যৌথ অভিযানে বিপন্ন প্রজাতির চারটি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয় বলে বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান।

এগুলোহল, একটি বিপন্ন প্রজাতির খাটো লেজা বানর, দুটি বাঁশ ভাল্লুক এবং একটি শকুন। খাটো লেজা বানরটি মহা বিপন্নের তালিকায় রয়েছে। বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামলকুমার মিত্র বলেন, “উদ্ধার করা প্রতিটি প্রাণীই বিলুপ্ত প্রজাতির।

প্রাণী‍গুলো অবমুক্তের বিষয়ে তিনি জানান, লাউয়াছড়া বা আশেপাশের বন প্রাণীগুলোর বাসযোগ্য কি-না তাদেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমানে প্রাণীগুলোকে  লাউয়াছড়া বনের জানকী ছড়ার রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে।

এদিকে প্রাণীগুলো উদ্ধারের সময় শ্রীমঙ্গল বার্ড পার্কের পরিচালক আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে না থাকায় তারবক্তব্য জানা যায়নি। লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হান্নান একজন সৌখিন পশু-পাখী প্রেমী হিসেবে পরিচিত। তার বার্ড পার্কে আরও বেশ কিছু পাখি রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক . মনিরুল এইচখান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলোর প্রত্যেকটিইবিপন্ন প্রজাতির।এর মধ্যে বাঁশভাল্লুক এবং খাটো লেজা বানর এক সময় সিলেট চট্টগ্রামের বনে দেখা যেত।

বাঁশভাল্লুক খুবই বিরল প্রজাতির প্রাণী উল্লেখ করে তিনি জানান, এর ইংরেজি নাম Binturang এবং বৈজ্ঞানিক নাম Arctictis binturang গেছো স্বভাবের এবং সর্বভূক প্রকৃতির প্রাণী সিলেট, চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রামেরগভীর জঙ্গলের বাঁশ বনে এদের পাওয়া যায়।

একইসাথে খাটো লেজা বানর দেখতে অন্যান্য বানরের মতো হলেও এদের লেজ খুবই ছোট শুকরের লেজের মতো এবং কপাল একটু কালো হয় এদেরইংরেজি বৈজ্ঞানিক নাম‍Stump-tailed- macaque বলেজানান তিনি।

অভিযানেরসময় উপস্থিত ছিলেন ্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার এবং বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামলকুমার মিত্র।